কথা
কবিতা-বিষয়ে আমার কোনো অনুভূতি নেই। প্রেরণাতেও বিশ্বাস করি না। কবিতাতে অনুভূতি খুঁজবেন পাঠক। এবং পাঠকই সেই অনুভূতি দ্বারা আলোড়িত হবেন। কবিতা-পাঠের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণার প্রয়োজন আছে। অনুপ্রণিত পাঠকই কবিতার প্রেম-প্রেরণায় জর্জরিত হন। এমনটাই হয়ে এসেছে। এখন এসবের বিপরীত কথা শুনি। কেউ কবিতা পড়তে চান না। কবিতা দূর্বোধ্য হয়ে যাচ্ছে। এসব কোনো অভিযোগ হতে পারে না। আসলে পাঠকের ভেতরে কাব্যপ্রেমের মৃত্যু ঘটেছে। এ থেকে বাঁচার উপায় কবিতার সঙ্গে জীবনের সংযোগ ঘটানো। মূলত, কবিতা লেখার কাজটি ভূতগ্রস্ত কোনো ব্যাপার নয়। এমনকি কবিতাও কারো ঘাড়ে চেপে বসে না। একটি শব্দ, একটি বাক্য সম্পূর্ণ একটি কবিতার পাটাতন হতে পারে, এই যা। মাটি, পাটি, বাঁশের মাচান সরিয়ে কবর থেকে লাশ বের কোরে এনে তাকে জীবিত করা যায় না। আমাদের চির ঐতিহ্যের বাঁশের খাটে পাতা পাটিতে শুয়ে থাক মাটিমাখা শব্দ ছাড়া আর কিছুই কবিতা নয়। কবিতা লাঙলের ফলায় চড়ে উঠে আসে উর্বর জমি-কাগজের বুকে। এছাড়া কবিতা সম্পর্কে বলার কিছু নেই। কবিতা-পাঠই মূল কাজ। আর, এই কাজের ভেতর থেকেই বেরিয়ে আসে কবিতার অনুভূতি ও প্রেরণাজাত কাব্যিক প্রাণগাথা।
কবিতা
রাস্তা
গত শনিবার রাস্তায় একটি মৃত কুকুর পড়েছিলো
গত রোববার বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে রাস্তায় মিশে গিয়েছিলো একটি শিশু
গত সোমবার পুলিশেরা রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলো নিরীহ যুবককে
গত মঙ্গলবার একজন রাস্তা থেকে ডেকেছিলো আমাকে, আমি যাই নি
গত বুধবার জগিঙে গিয়ে রাস্তায় পড়েছিলো তামজীদের বাবা
গত বৃহস্পতিবার রাস্তার কাহিনী লিখতে এসেছিলো অপরিচিত একটি লোক
আজ শুক্রবার বাদ মাগরিব রাস্তার নামে গায়েবি জানাযা হবে
আলোচনা