বিকেল নামছে। গর্ত থেকে বেরিয়ে আসছে ফুলেরা
আমার হৃৎপিণ্ডও হলুদ সূর্যের সঙ্গে লাফিয়ে উঠল
কিন্তু ঘুম আমাকে পেয়ে বসছে যেন
লম্বা সুপুরিগাছের পাতায় অচেনা আলো জ্বলে উঠছে
শিশুদের হল্লা চারদিকে, অদূরে সমুদ্রের গর্জন
এটা মৃত্যুপুরীও নয়, উন্মুক্ত গাছেদের পর্যটন
আমি তলিয়ে যাচ্ছি শীতার্তদিনের উজ্জ্বলতায়
তোমার বাহুর পাশে একেকটা মৃত্যু ক্ষুধার্ত হয়ে ওঠে।
কী বর্ণ কী গন্ধ ভাবিনি এত কিছু
মগজের কোষে শুধু রৌদ্র খেলে যায়
শব্দের ওপারে তুমি পড়ে থাকো, নিস্তব্ধতা।
আমি খনন করি অপার্থিব আয়না
সবটুকু স্ফুট নয়, শুধু চিহ্ন শুধু স্মৃতি
সমস্ত ভাষ্যের আড়ালে রাজহাঁস ডানা মেলে
বৃষ্টি থেকে গাছ হয়, গুল্ম কোরক ও ফুল
তোমার শরীর ঢাকা ডুমুর পাতায় রতিচিহ্ন মাখা
কিন্তু চঞ্চু ও চুল, আশ্চর্য তাও জানি না।
আমি কথা বলছি। আমি লিখছি
তুমি শুয়ে আছ কুণ্ডলী পাকিয়ে।
মাটি আগুন বাতাস একসাথে শব্দ করছে
তুমিও গলা জড়ানো গলায় কথা বলছ
তোমার নাভির ক্ষত থেকে জন্ম নিচ্ছে গাছ
আমি বলি তোমার পেটের ওপর হাত রাখো
তুমি বললে, পুড়ে যাচ্ছে সব।
আমিও একটি গাছ রোপণ করি
তুমি ঘুমে তলিয়ে যাচ্ছ।
আলোচনা