ক্লাইভরা শেয়াল হৃদয়ে বানিয়েছে চার দেয়ালের এই খাঁচা
উজানের ধারায় চলতে গিয়ে রাতের রঙের মতো কত সাঁওতাল
মাটির অন্তরে পাতালের ঘরে বাস করে হয়েছে ফসিল
উনিশ শো পঞ্চাশে আবার আশিতেও রুদ্ধশ্বাস গুমোট বাতাস
কেটে দখিনা পবনে ডানার উড়াল দিতেই
গুচ্ছ গুচ্ছ প্রাণের ক্যানভাসে কৃষ্ণচূড়া ফুটে ওঠে
খাপরা ওয়ার্ড ঢাকা আছে রক্তের আকাশে
অসংখ্য গাছের সবুজেও সবুজ হয় না পরিবেশ
মানুষের ভেতরের কষ্টে সবুজ ছাপিয়ে রক্তপলাশের অঙ্কন বয়ন
মানুষের দীর্ঘশ্বাসে গন্ধহীন গন্ধরাজ গোলাপ বকুল
শুধু পাখির স্বাধীন ওড়াওড়ি বাঁচিয়ে রেখেছে আত্মার সাঁতার
ইতিহাসের চাকায় পুরোনো রক্তের দাগ ক্রমাগত গাঢ় হচ্ছে
বিদ্রোহী কবির কণ্ঠে একবার খাঁচা ভাঙার জোয়ার এসেছিলো
আগুন জ্বালিয়ে ছারখার করে দিতে চেয়েছিলো বন্দীশালা
তারপর কেই আর সাহসের শিখা জ্বালতে বারুদ জমায়নি বুকে
শুধু মিউমিউ কিছু বেড়ালের বাচ্চা মাছের সুস্বাদু কাটা খেয়ে চলে যায়
রক্তাক্ত ইঁটের গৃহে আত্মারা আসলে হয়ে যায় পাথরের নুড়ি
ইচ্ছাশক্তিহীন মানুষেরা চিড়িয়াখানার জন্তু হয়ে চলে যান্ত্রিক নিয়মে
আমি তবু লিখে চলি বিপ্লবী নাজিম হিকমতের মতন অশ্বরোহী সময়ের চিঠি
প্রাচীন প্রাচীর শুধু রাতদিন তন্দ্রাহীন পাহারায়
মানুষের প্রাণের গুঞ্জন, সুখদুখস্বপ্ন, ভালোবাসা, দ্রোহ
তবু জীবনের ঘানি চলে রক্তঘাম ঝরে
সবার বুকেই জ্বলে ক্ষয়ে যাওয়া একমাত্র আশা : মুক্ত উড়াল
সকাল সন্ধ্যায় পাখিদের প্রেরণায় মন হয়ে ওঠে ধল প্রহরের কাল।
আলোচনা